বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরনখোলায় হরিণের চামড়া কেনাবেচার সময় র্যাবের জালে ধরা পড়েছে চার পাচারকারী।
শনিবার (৩জুলাই) ভোররাতে শরণখোলার সোনাতলা বেড়িবাঁধের ওপর থেকে তাদেরকে আটক করে র্যাব-৬ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে সুন্দরবনের চিত্রল হরিণের প্রক্রিয়াজাতকৃত দু’টি চামড়া উদ্ধার করা হয়।
আটক পাচারকারীরা হলেন উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আমির মল্লিকের ছেলে জাকির মল্লিক (৪৫), জাকির মল্লিকের ছেলে ওমর সানি (১৯), রায়েন্দা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আমির পাহলানের ছেলে হাফিজুল পহলান(৩৫) এবং নূরুল হক ফরাজির ছেলে মাসুম ফরাজি (৩০)।
আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৬ এর খুলনা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, হরিণের চামড়া দুটি সোনাতলা গ্রামের মোশারেফ ফকিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চামড়া পাচারকারী আটক জাকির মল্লিকের সঙ্গে প্রতিবেশী মোশারেফ ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে আদালতে মামলাও চলছে। একারণে মোশারেফ ফকিরকে ফাঁসাতে তার বাড়িতে দুই হরিণের চামড়া রেখে র্যাবকে খবর দেন জাকির মল্লিক।
সেই তথ্যানুযায়ী র্যাবের একটি দল শনিবার ভোররাতে জাকির মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোশারেফ ফকিরের বাড়ি থেকে চামড়া দুটি উদ্ধার করে। ঘটনাটি সাজানো বুঝতে পেরে র্যাব সদস্যরা মোশারেফকে ছেড়ে তথ্যদাতাসহ ওই চক্রের চার সদস্যকে আটক করে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ এসপি মো. বজলুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোনাতলা গ্রামের বেড়িবাঁধের ওপর কেনাবেচার সময় হরিণের দু’টি চামড়াসহ চারজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানায় ১৯২৭ সালের বন আইন (সংশোধিত ২০০০) এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে আটক চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। উল্ল্যেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে হরিন নিধনে এক শ্রেনীর চোরা শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।