বশেমুরবিপ্রবিপর প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) বেতন, ভর্তি-ফি কমানোসহ একাধিক দাবিতে করা আন্দোলনে উপাচার্যের আশ্বাসে ক্লাসে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর, ২০২১ইং বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বেতন, ভর্তি-ফি সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশিত হয়। প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া দায়সারা এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করার পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াগুলো হল, আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টারের বেতন ১২০০ টাকার বদলে ৬০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ২০০ টাকার বদলে ২০ টাকা, ছাত্র কল্যাণ ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা, আইডি কার্ড ৪০০ এর বদলে ৫০, চিকিৎসা ফি ২০০ এর বদলে ৫০, পরিবহন ফি ৬০০ এর বদলে ৩০০, রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসি ১০০ এর বদলে ৪০, সিলেবাস ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা করতে হবে। আর কম্পিউটার ও ইন্টারনেট, স্টুডেন্ট গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিং, বিভাগ উন্নয়ন, কেন্দ্র ফিসহ সকল অমূলক ফি বাতিল করতে হবে। এছাড়া প্রতি ক্রেডিট ফি ৫০, প্রবেশপত্র ফি ৫ টাকাসহ হলের সিট ভাড়া ৭৫ এবং সংস্থাপন ফি ৭৫ টাকা করতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকালে দাবি দাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. এ কিউ মাহমুদের বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১৮ দফা দাবির মধ্যে বেশ কিছু তোমাদের অধিকার। সেগুলো দাবি করার কিছুই নাই। এমনিতেই মেনে নেয়া হবে। আর কিছু দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনা করে মেনে নিয়েছে। বাকি দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে নেই, ইউজিসির সাথে আলোচনা করে অচিরেই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইউজিসি থেকে আমাদের অনুদান কম দেয়া হয়। পরবর্তীতে ইউজিসির নিকট পর্যাপ্ত অনুদানের দাবির বিষয়ে জানান। একইসাথে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি যৌক্তিকতা প্রকাশ করে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর রাত থেকে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ফি এর নোটিশের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা।