এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ/স্টাফ রিপোর্টারঃ ১৯৬৯ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ায়। গ্র্যাজুয়েশন করেন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে।
কর্মজীবন-
পড়াশোনা শেষ করে তিনি পিরোজপুর জেলা সিভিল কোর্টে চাকরি শুরু করেন। আর সে সময় তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পান। কোর্টের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে জনসংযোগ বিভাগে বরিশাল জেলার সংযোগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ হন। সে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পর তিনি কলকাতার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অফিস সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। রাজনৈতিক প্রচারকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে একটি প্রচারপত্রের প্রয়োজন ছিলো এবং সেই চিন্তা থেকেই মানিক মিয়ার উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে আবুল মনসুর আহমেদের সম্পাদনায় বের হয় ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’-এর পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। এ পত্রিকার সাথে মানিক মিয়া মাত্র দেড় বছরের মতো যুক্ত ছিলেন। একসময় পাকিস্তানি সরকার কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় পত্রিকাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
১৯৪৮ সালেই পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে নামে। এই ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই করে পরের বছরে রাজনৈতিক দলের মুখপত্র হিসেবে আবির্ভাব ঘটে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক-এর।
১৯৫৩ সালে তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক ইত্তেফাকে রূপান্তরিত হয়। এ সময়ের পর অনেক বাধাবিপত্তি পেড়িয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দৈনিক ইত্তেফাক।
১৯৬৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক প্রেস ইন্সটিটিউটের পাকিস্তান শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে কাশ্মীরে সৃষ্ট দাঙ্গা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে স্থাপিত দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির প্রথম সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
পরিবারের সদস্য-
তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান।
তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার দুই ছেলে হলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি।
মৃত্যু-
১৯৬৯ সালের ১ জুন রাতে তিনি মারা যান।