১৪ মার্চ ২০২১ তারিখে স্থানীয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত ‘আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে প্রতিবন্ধীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে উচ্ছেদের অভিযোগ’ শিরোনামের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উপস্থাপিত সকল অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সংবাদে টিন শেডের যে ঘরের ছবি ছাপানো হয়েছে সেটিও অন্য কারো ঘরের ছবি। প্রতিবেদক অভিযুক্ত কারো সাথে বক্তব্য না নিয়ে তার মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদটি রচনা করেছেন। আমরা এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ এবং এ ধরণের হলুদ সাংবাদিকার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদে যে জমি নিয়ে বিরোধের কথা বলা হয়েছে সে জমি নিজেদের দাবী করে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেছেন আবু তাহের গং। যার মামলা নং- ৯০/২০১৫। যাতে বিবাদী করা হয়েছে সিদ্দিকুর রহমান, সামসুর রহমান ও সাব্বির রশিদকে। প্রকৃতপক্ষে নালিশী আরএস ১১১০ খতিয়ানের ২৫৯ দাগের ১৬ শতক জমি বিবাদীগণ দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। তাদের নিজ নামে রেকর্ডকৃত ঐ সম্পত্তির উপর খারিজ-খাজনাও প্রচলিত আছে। বাদীগণের কোন কাগজপত্র নেই। ২৯/০৭/১৯ তারিখে কাথুলি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং ১৭/১০/১৯ তারিখে সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান নালিশী জমি বিবাদীদের ভোগ দখলে আছে বলে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করেছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের কথা বলা হলেও দেওয়ানী মামলা ছাড়া আদালতের কোন আদেশ নেই। ওয়ারিশ পলাশ আহম্মেদের যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেটিও তার মনগড়া। পলাশ সিদ্দিকুর রহমানের কোন ওয়ারিশ নয়।
বাদী আবু তাহের তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে নালিশী জমির একশ গজ দূরে বিবাদীদের দয়ায় বিবাদীদের দেওয়া ২৫৫ দাগের অপর একটি জায়গার উপর টিন শেডের ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার ওয়াক্তিও মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোনে অবস্থিত সে বাড়িতে এখনও তারা অবস্থান করছেন। প্রকৃত পক্ষে নালিশী জমির উপর কোন ঘর-বাড়ি ছিল না, এখনও নেই। রয়েছে লিচু, আম সহ অন্যান্য গাছ গাছালি। বরং বাদীগণ গত তিন মাস থেকে নালিশী জমি অবৈধভাবে দখলের নানা অপচেষ্টা করে আসছেন। যার কারণে শনিবার সকালে বিবাদীগণ কয়েকজন লোক দিয়ে ঐ জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরেছেন।
সংবাদে বলা হয়েছে আবু তাহেরের ভাই কালামের ছেলের বউ মুর্শিদা খাতুনের নিকট থেকে মোবাইল ফোন, সোনার দুল ও চেইন ছিনতাই করা হয়েছে। বেড়া দেয়ার সময় বাদী আবু তাহের গং-এর কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কাজেই ছিনতাইয়ের কোন প্রশ্নই আসে না। অসৎ উদ্দেশ্যে আবু তাহেরকে মারধরের নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেখানো হয়েছে। এ সংবাদে কাথুলি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানাকে ইন্ধনদাতা হিসেবে টিট করা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার সাথে তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। যা হচ্ছে তা বাদী আর বিবাদীগণের মধ্যেই। প্রকৃতপক্ষে আবু তাহেরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বিবিজানের সাথে এ প্রতিবেদকের একরকম সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া তিনি আমাদের কাছ থেকে কোন আর্থিক সুবধা না পাওয়ায় ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আমরা এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সামসুর রহমান
পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ
গ্রাম- গাড়াবাড়িয়া
কাথুলি, গাংনী, মেহেরপুর।