দানিলো পেরেইরার জোরা গোল এবং মেসি,এমবাপে,প্রেসনেল কিম্পেম্ব করেছে একটি করে গোল । এইনিয়ে লিলির বিপক্ষে ৫-১ গোলে বড় জয় পেয়েছে প্যারিসের দল পিএসজি । লিগ ওয়ানে এই নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত রইল পিএসজি।
ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিলের জালে বল পাঠান পেরেইরা । ম্যাচের ১৮ মিনিটে সুযোগ পান মেসি তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আর্জেন্টাইন তারকার শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় । ২৮তম মিনিটে বোটমানই সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। তবে সমতা কাটিয়ে লিড নিতে বেশি দেরি করেনি পিএসজি । তিন মিনিট পরই অবশ্য লিড আবার পুনরুদ্ধার করে পিএসজি। মেসির কর্নারে দূরের পোষ্টে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ডিফেন্ডার কিম্পেম্বে।
রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা ৩৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন । বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া এমবাপেকে লিলের এক ডিফেন্ডার রুখে দিলেও বল মেরে বসেন মেসির পায়ে। ডি-বক্সে ঢুকে সহজেই গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন লিওনেল মেসি। লিগ ওয়ানে পিএসজির হয়ে ১৩ ম্যাচে এটি মেসির দ্বিতীয় গোল। ছয় ম্যাচ পর লিগে জালের দেখা পেলেন তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল পেতে পারতেন মেসি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার ফ্রি-কিক ক্রসবারে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান পেরেইরা। মেসির শট প্রথমে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। লেয়ান্দ্রো পারেদেসের কাছ থেকে বল পেয়ে পেরেইরার শট প্রতিপক্ষের একজনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
৬৭তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান ৫-১ করেন এমবাপে। মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে তিনি বল পান ডি-বক্সের বাইরে। সেখান থেকে তার ডান পায়ের বাঁকানো শট দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।
বাকি সময়ে আর সেভাবে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। তাই ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি ।
২৩ ম্যাচে ১৭ জয় এবং ৫ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৫৬। ২৩ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মার্সেই। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে নিস।