যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্নাতক ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার প্রথম দিনেই পরিবহন বিড়ম্বনায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল পরিবহন শিডিউল বিপর্যয় ও পরিবহন সংকটের কারণে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই পরীক্ষা হলে পৌঁছাতে পারেনি নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে। ইতিপূর্বে স্নাতককোত্তর পরীক্ষার সময়ও একই সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনসহ ভোগান্তির স্বীকার হয় আবাসিক হলের বাইরে থাকা পরীক্ষার্থীরা।
যবিপ্রবির তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের অনেকে পরীক্ষার্থীয় ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার সময় অনুযায়ী বাস শিডিউলও করে প্রকাশ করে যবিপ্রবি পরিবহন কর্তৃপক্ষ। শিডিউল অনুযায়ী বাস সকাল ৮:৫০ ঘটিকায় এবং ১২:০০ ঘটিকায়, যা চাচড়া এবং মনিহার থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে গতকাল শিডিউল অনুযায়ী মেলেনি বাসের দেখা , দুপুর ১২:০০ ঘটিকার বাস ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে এসে পালবাড়ি পৌঁছায় ১২;৪০ ঘটিকায় । এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরে পরীক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অনেক আলোচনা সমালোচনা ঝড়। পরিবহন প্রশাসনের অবহেলা ও সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা ।
এই বিষয়ে কাবির হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, দুপুর ১২:০০ ঘটিকার বাস ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে এসে পালবাড়ি পৌঁছায় ১২ঃ৪০ ঘটিকায়। এতে যাদের পরীক্ষা ১ঃ০০ ঘটিকায় ছিলো তাঁদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে। এদিকে বাস লেট করে আসার কারণে পরীক্ষার সময় মেইনটেইন করতে গিয়ে প্রচন্ড গতিতে বাস চালানো শুরু করেন ড্রাইভার। এতে করে আমরা পরীক্ষার্থীরা যারা পরীক্ষার হলে যথাযথ সময়ে উপস্থিত হতে পারি নাই তাঁরা অনেকে পরীক্ষার হলে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের এই ৪০ মিনিটের হয়রানির জন্য দায়ী আসলে কারা??
এক পরীক্ষার্থী বলেন,৮ঃ৫০ ঘটিকার বাস ক্যাম্পাস থেকে ৩০-৪০ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে আসে। আরো এক পরীক্ষার্থী জানান, পরিবহন কর্তৃপক্ষের থেকে বাস দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ টি , মনিহার-ক্যাম্পাস (দ্বিতল বাস) আর চাঁচড়া-ক্যাম্পাস (দ্বিতল বাস)। সকালের বাসে আমি ছিলাম, ১ বাসে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী ছিলো। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কারোর পক্ষেই সম্ভব ছিলো না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না হওয়ায় অনেকের মধ্যে আতঙ্ক-ভীতি কাজ করছে।
এই নিয়ে নিজেদের শারীরিক সুরক্ষা নিয়েও চিন্তিত ও ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে জানতে পরিবহন প্রশাসক ও যবিপ্রবি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ জাফিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে এবং ক্ষুদ্রে বার্তায় একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।