নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইল জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের সড়কটি পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। সরু রাস্তা। দুই পাশে মাটি নেই। সে কখন এক পাশের পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলতে গলে পড়তে হয় খাদে। এমন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলি ইউনিয়নবাসীকে। স্থানীরা জানান, ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা সড়কটি। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের সড়কটি পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। ঝুঁকিপূর্ণ বলে সন্ধ্যার পর এ সড়কে চলে না কোনো যান বাহন। ফলে সন্ধ্যার আগেই এলাকার মানুষকে ঘরে ফিরতে হয়। সদর উপজেলার শিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম থেকে কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের শীতলবাটি গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তার দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। রাস্তার পিচ উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে রাস্তার অর্ধেক অংশের পিচ উঠে গেছে।
শীতলবাটি গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী বলেন, বিল থেকে ফসল নিয়ে রাস্তায় উঠতে গেলে ভাঙ্গাচুরা রাস্তার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। অনেক সময় পায়ের নখও উঠে যায়। পিরোলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. কাছেদ মোল্যা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা গ্রামে বসবাস করি বলেই মনে হয় আমাদর কেউ খোঁজখবর নেয় না। কোনো নেতাও এলাকায় আসেন না। কি কষ্টের মধ্যে আমরা চলাচল করি তা কেউ দেখেও না বোঝেও না। ভোট আসলে আমাদের কদর বাড়ে। কত রকমের ওয়াদা করে।
কালিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, কিছুদিন হল ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কালিয়ার দায়িত্ব পালন করছি। এখানকার কোনো বিষয় সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।