নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে লক ডাউনের প্রথম দিন কঠোর ভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে কোন ধরনের গন পরিবহন চলাচল করে নাই। তবে কিছু ভ্যানগাড়ী চলাচল করতে দেখা গেলেও আইন শৃখলা বাহিনী তাতে বাধা প্রদান করছে। শহরের প্রধান প্রধান মার্কেটের দোকানগুলি বন্ধ রয়েছে। নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান কতৃক ১৯জুন রাতে স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় নড়াইল জেলায় ২০ জুন রাত ১২টা থেকে আগামী ২৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনকালীণ সময়ে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, রেস্তোরা, মুদি দোকান ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, মাছের বাজার ও ফলের দোকান প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তজেলা, দূরপাল্লার সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
এক্ষেত্রে ইজিবাইক থ্রি হুইলারসহ সকল যান্ত্রিক যানবাহন লকডাউনকালীন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরী প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। জরুরী পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কতৃক সময়ে সময়ে ঘোষিত অন্যান্য জরুরী পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। এসব আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নড়াইলে গত চব্বিশ ঘন্টায় ৭৯ জনের করোনা নমুনা রিপোর্টে ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
রিপোর্টের বিচারে আক্রান্ত ৫৫.৬৯ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৬৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৮৬৪জন। নতুন এক জন সহ মোট মারা গেছে ৩১জন। জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৩৭৩ জন।