নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রামশ্রম শিমুল ডাঙ্গা গ্রামের সর্বত্র এখন চলছে বোরা ধান কাটা মাড়াইয়ের কর্ম ব্যস্ততা। আগের দিনে গ্রামবাংলার ঢেঁকি আওয়াজের ঝুম ঝুম শব্দে ধান মাড়াইয়ে পর কৃষণীরা ব্যস্ত সময় পার করতো।
এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াই করে তা রোদে শুকাতে ব্যস্ত সময় পর করছে কৃষকরা।সারাদিন ব্যাপী ধান কেটে মাড়াইয়ের পর রাতভর সেই দান সেদ্ধ করতে দেখাও যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার এ সময়ে বোরা ধান ক্ষেত থেকে ধান কেটে এনে তা উঠানে তোলা,মাড়াই করা ও রোদে শুকানোর কাজে সবাই ব্যস্ত।
এখানে করোনাকালীন ও লকডাউন বাড়িতে বসে থাকা শিক্ষার্থীরা ও মাঠে নেমেছেন। কৃষকের জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে দিনমজুরের সঙ্গে স্কুল + কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে কাজ করছে এখানে এক বিঘা জমির বোরা ধান কাটা মাড়াই করতে কৃষককে শ্রমিকের পরিশ্রমিক দিতে হচ্ছে দুই হাজার টাকা।
এখানে এবার বোরার ফলন ও বেশ ভালো হাওয়ার কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু স্থানে ব্রি-২৮ও ব্রি-৮১ জাতের ধানের পাতায় প শীর্ষে এ রেগ দেখা দেয়া ছাড়া সর্বত্রে বোরার ফলন বেশ ভালোই হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।স্হানীয় শিমুল ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সারোয়ার হোসেন জানান,তার জমির ধান বেশ ভালোই হয়েছে। তিনি ধান ক্ষেতে আগাম ব্লাষ্ট রোগের ঔষধ প্রয়োগ করার ব্লাষ্টের আক্রমণ থেকে বোরা ক্ষেত রক্ষা করতে পেরেছেন। ফলে তার ক্ষেতে বোরার ফলন ভালো পেয়েছেন।
একই এলাকার কৃষক জানান তিনি দুই বিঘা জমিতে বোরে ধান চাষ করে এবার ভালো ফলন পেয়েছেন। তার মতে,এখানকার কিছু কিছু জমিতে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ ছাড়া প্রায় সব বোরো চাষি জমিতে বোরার ফলন ভালো হয়েছে। স্হানীয় জবাই গ্রাম কৃষক জব্বার জানান এবার হাইব্রিড জাতের বোরা ধান চাষ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার ক্ষেতে বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তিনি এক বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ২৮ মণ ধান পাবেন এমনি আশা করছেন।
এখানে ধানের ফলন ভালো হাওয়ার আমরা কৃষকের ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছি। যুবকরা আরো বলেন,করোনাকালীন সময়ে লকডাইনে স্কুল – কলেজ,মাদরাসা বন্ধ থাকার ঘরে বসে না থেকে কৃষকের ধান কেটে আমরা লেখা পড়ার খরচ যোগানোর সুযোগ পাচ্ছি।
তারা এক বিঘা জমির ধান কেটে ২ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন বলে জানান। সাপাহারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় এবার ধান উৎপাদন ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরোর ফলন ও বেশ ভালো হয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন ১ লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়।