fbpx
সংবাদ শিরোনাম
নোটিশ :

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দৈনিক দেশান্তর’ এ সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহীদের ই-মেইলে সিভি পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। সিভি পাঠানোর ই-মেইল: dainikdeshantar@gmail.com  অথবা ০১৭৮৮-৪০৫০৯১ এ যোগাযোগ করুন।

দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ার

                                           
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-এঁর অনুমোদনক্রমে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগাদেশ জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর হবে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবিশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।’ বিশিষ্ট অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে তারিখে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর প্রথম মেয়াদ শেষ হয় গত ১৯ মে।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাসহ করোনার জীবনরহস্য উন্মোচন, গতিপথ পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে এ জিনোম সেন্টারে গবেষণা চলমান রয়েছে। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে যবিপ্রবি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ২০২০ সালে গবেষণা প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যবিপ্রবি বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করে। গত ৮ মে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে যবিপ্রবির ল্যাবে প্রথমবারের মতো করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কম খরচে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ‘সাইবারগ্রিন পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করে।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের ওসাকায় সানতোরি কর্পোরেশনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে অবস্থিত রবার্ট উড জনসন মেডিক্যাল স্কুলের ইউএমডিএনজে (বর্তমানে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন।

১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। ড. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, রিজেন্ট বোর্ড, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও উচ্চতর গবেষণা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও করছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ‘ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন ন্যাশনাল বায়োটেকনোলজি ফর বাংলাদেশ’-এ বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে এ সময়কাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এর বোর্ড অফ গভর্নরস এবং কাউন্সিল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন জার্নাল, বই-এর অধ্যায়, আন্তর্জাতিক কনফারেন্স প্রকাশনায় তার ১৫০-এর অধিক পিয়ার রিভিউড নিবন্ধ ও মুখবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ড. আনোয়ার কমনওয়েলথ, মনোবসু, ইউনেস্কো, এফওবিএমবি, ফিডা ফাউন্ডেশন ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি ও ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। ২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে শ্রেষ্ঠ গবেষকের পুরস্কার অর্জন করেন।

ড. আনোয়ার এবং তার গবেষণা সহযোগীরা ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (গরুর ক্ষুরা রোগ) ভাইরাস’-এর তিন ধরনের সেরাটাইপের জীবনরহস্য উন্মোচন এবং ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধী কার্যকর ভ্যাকসিন আবিস্কার, পোল্ট্রিতে সালমোনেলা জীবাণুর প্রাদুর্ভাব, পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর বিস্তার, অণুজীব দ্বারা আর্সেনিকের জৈবপরিশোধন, গরুর ওলান ফোলা (ম্যাসটাইটিস) রোগ সংক্রান্ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ড. আনোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে বায়োসেফটি লেভেল টু প্লাস পর্যায়ে মলিকুলার বায়োলজি ও ভ্যাকসিন রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমিক অব সায়েন্সেস হতে স্বর্ণ পদক পান এবং অ্যাকাডেমির সম্মানিত ফেলো মনোনীত হন।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম শেখ খোরশেদ আলম ও মাতা পিয়ারা বেগম। ড. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিস ফেরদৌসী ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. আনোয়ারের বড় ছেলে আজওয়াদ আনোয়ার কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ছোট ছেলে আজরাফ আনোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়া, সিটি অব নিউইয়র্কে বায়ো-মেডিকেল বিভাগে অধ্যায়নরত আছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

Raw Food BD Mustard Oil

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগ থেকে পড়ুন
Raw Food BD Mustard Oil