দামুড়হুদা উপজেলায় লকডাউনের ১২তম দিন কঠোর অবস্থানে পুলিশসহ সরেজমিনে ইউএনও দিলারা রহমান। শনিবার ছিলো দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে লকডাউনের ১২তম দিন। কঠোর অবস্থানে ছিলো পুলিশ প্রশাসন।
গ্রামে গ্রামে টহল সহ রাস্তার প্রবেশদ্বার গুলোই পুলিশ ছিলো কঠোর ভুমিকায়। জানাগেছে, দামুড়হুদা শহর, দর্শনা পৌর এলাকার গ্রামে গ্রামে টহল সহ সড়কের সন্মুখদ্বারে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের ততপরতা ছিলো কঠোর। রাস্তায় বিভিন্ন অজুহাতে চলাচলকারী মানুষের সংখ্যা ছিলো কম।
লকডাউন বাস্তবায়নের বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আঃ খালেক বলেন, আমরা সকাল থেকে গভীড় রাত পর্যন্ত দামুড়হুদা সদর সহ ৭ টি ইউনিয়নের অলিতে গলিতে টহল জোরদার করে সাধারন জনগনের অযথা চলাচল সহ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন যানবাহনের চলাচলের উপরে কঠোরতা অবলম্বল করে চলেছি, পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মুখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে কাজ করে চলেছি। একপ্রকার দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়নে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
ওদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছি। সর্বসাধারনের অযথা (জরুরী পরিসেবা ছাড়া) রাস্তায় চলাচল ও বিভিন্ন দিক খেয়াল রেখে কঠোর ভুমিকা পালন করছি। গ্রামে গ্রামে টহলও ছিলো জোরদার।
অপরদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, আমারা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কঠোর ভাবে কাজ করে চলেছি। ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা আদায় সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে সর্বসাধারনের অবগতি করানো, অযথা রাস্তায় চলাচল, পাড়া মহল্লা অলিতে গলিতে আড্ডারতদের ঘরে থাকতে পরামর্শ সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দামুড়হুদা উপজেলা ব্যাপী কঠোর ভাবে কাজ করে চলেছি।
এদিকে গলাইদড়ি ব্রীজের সন্মুখদ্বারে আনছার বাহিনী, গ্রাম পুলিশ ও থানা পুলিশের ভুমিকাও ছিলো কঠোর। দর্শনা মুজিবনগর সড়ক ছিলো প্রায় জনমানুষ শূন্য। গতকাল শনিবার দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে কঠোর লকডাউনের চিত্র উঠে আসে।