নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাঁকড়ার আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা।পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তামান্নার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানা। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে ওঠেন, ‘আমি লন্ডন থেকে শেখ রেহানা বলছি। আমি কি তামান্না নূরার সঙ্গে কথা বলছি।’ তখনই কান্না করতে থাকেন তামান্না। কান্না থামাতে বলে শেখ রেহানা বলেন, ‘কাঁদে না। টানা ভালো রেজাল্ট করায় তোমাকে অভিনন্দন। তোমার সংগ্রামের কথা শুনেছি। তুমি খুব সাহসী। তুমি এগিয়ে যাও। আমরা দুই বোন বেঁচে থাকা পর্যন্ত তোমার সহযোগিতা করে যাবো। যারা সাহস রেখে চলে তারা কখনো হেরে যায় না।’
এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ফোন। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শোনা গেলো- ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছিলাম। আমি কি তামান্নার সঙ্গে কথা বলছি?’ কণ্ঠস্বর শুনে ঘাবড়ে যান তামান্না আক্তার নূরা। সম্মতি দিতেই তাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষণিকের জন্য তামান্না বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তামান্না আনন্দে কেঁদে ফেলে। তাকে কান্না থামাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘তুমি কাঁদছো কেন। তোমার স্বপ্নপূরণ হবে।’ এরপর কান্না থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম দেন তামান্না।
এ সময় তামান্না তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা এবং তার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে চান। প্রধানমন্ত্রীও তার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আর তামান্নাকে ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে’ একটা আবেদন করার পরামর্শ দেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে তাকে সকল সহযোগিতা দিবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামান্নার টানা ৪ মিনিটের কথাপোকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে একাধিকবার সাহস হারাতে নিষেধ করেন। বলেন, সাহস আর মনোবল থাকলে তুমি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে।