মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের এক অসহায় নাবালকের স্বত্ব অপদখলের চেষ্টায় লিপ্ত একদল ভূমিখেকো চক্র।
জানা যায়, সম্প্রতি সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামের মোশাইদ আলীর স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে সুলতানা বেগমের অসহায় ছেলে মো: জিসান মিয়া (৯) এর একমাত্র মাথা গোজার ঠাই – শেষ অবলম্বন বসতঘরের জমি স্থানীয় সন্ত্রাসী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারী, ভূমি খেকো চক্রের হোতা ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র পালের ছেলে ইমন পাল (৩৫), সত্য পাল (৩৪), শুভ্র পাল (৩৬), জতি পালের ছেলে রিশেন্দ্র পাল (৩৮), নিরঞ্জন পালের ছেলে রবেন্দ্র পাল (৩৩), মৃত নাইম উল্যাহর ছেলে জলিল মিয়া (অরফে কুচকর জলিল) (৫০) ও উসমান আলীর ছেলে আং সালাম সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বসত ভিটা ছাড়ার হুমকি দেন। অসহায় জিসানের মা সুলতানা বেগম বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় দালালদের কারনে বিষয়টির কোন সুরাহা পাননি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে চলতি বছরের বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর সহকারী জজ আদালত কুলাউড়া চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য স্বত্ব মামলা নং- ২৫০/২৪ (কুলা:) দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসী গন দল বদ্ধ হইয়া গত ৮ অক্টোবর সকাল প্রায় ১১ ঘঠিকায় জিসানের বাড়ীর সামনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওতপেতে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিসানের মামা মোশাইদ আলীর ছেলে হেলালের উপর হামলা চালালে দৌড়ে সুলতানা বেগমের ঘরে ডুকে প্রাণ রক্ষা করেন হেলাল। এ ঘঠনায় জিসানের মামা, সুলতানা বেগমের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত একটি পিটিশন মামলা (নং- ২০৪/২০২৪ ধারা: ১০৭, ১১৪, ১১৭ (সি:) (জুড়ী) দায়ের করেন। এ বিষয়ে অসহায়, নাবালক জিসানের সর্বশেষ মাথাগোজার ঠাই হিসেবে বসত ঘর দুবৃত্ত, ভূমিখেকো থেকে রক্ষা সহ পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করছেন সরকারের কাছে।