আহসান হাবীব/ জাককানইবি প্রতিনিধিঃ গ্রীষ্ম মৌসুমে ধুলাবালির যন্ত্রণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের রাস্তাগুলো সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবার সামান্য বৃষ্টিতেও এর চেয়ে দ্বিগুণ খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। রাস্তার কোথাও চাষ করা জমির মত কাঁদা আবার কোথাও যেন বড় বড় পানির চৌবাচ্চা। গত কয়েকদিনের সামান্য বৃষ্টিতে ঠিক এমনটাই দেখা যাচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) মূল রাস্তাগুলোর অবস্থা।
ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেইট দিয়ে ঢুকতেই মুখোমুখি হতে হয় কাঁদার স্তুপ আর পানিভর্তি খাদের। যা চলে গেছে দোলনচাঁপা ছাত্রী হল, শিক্ষক ডরমিটরি ব্রহ্মপুত্র নিকেতন ও অস্থায়ী কেন্দ্রীয় মন্দির পেরিয়ে অগ্নিবীণা ছাত্র হল পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রাস্তাগুলোয় নেই কোনো পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। যার ফলে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পথচারীদের নাজেহাল হওয়ার অবস্থা।
ক্যাম্পাসের এই দুরবস্থার কারণ হিসেবে ক্যাম্পাস সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির সদস্য-সচিব মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন (দ্রাবিড় সৈকত) বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে আমরা প্রচুর চেষ্টা করেছি। বারবার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্লানিং অ্যাণ্ড ডেভেলপমেন্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপই নেন না। তারা বলেন, ক্যাম্পাসের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হলে এরপর রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হবে। কিন্তু এই উন্নয়ন প্রকল্প তো দীর্ঘমেয়াদি। এতদিনে সবার অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। যার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের গাফিলতি দায়ী।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে রাস্তাগুলো ঠিক করা হবে এবং এর জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল দপ্তরগুলোর কাজের প্রতি এই অনীহার কারণ বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কুমার পাল বলেন,একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা যতটা উন্নত হওয়া দরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা ততটা উন্নত নয়। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী।
আলমগীর হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা নোংরা ও জঘন্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। গ্রীষ্মের দিনে ধূলার যন্ত্রণা আর বর্ষায় কাঁদা। প্রথম থেকেই দেখছি এরকম। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তৎপর হওয়া উচিত।