fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনের নামে হত‍্যা মামলা মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী

জরুরী প্রয়োজনে রক্তের চাহিদা পূরণ করছে কসবা ব্লাড ব্যাংক

                                           
প্রকাশ : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

মানুষকে ভালোবেসে যতগুলো ভাল কাজ করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বেচ্ছায় রক্তদান। দিন দিন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বাড়ছে। এই সব রক্তদাতাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করছেন মোঃ রাসেল আহমেদ।

মুমূর্ষ রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে ২৫ মার্চ ২০২১ সালে মেহেরপুরের গাংনীতে ‘কসবা ব্লাড ব্যাংক’ নামে ফেসবুক গ্রুপ খুলেছিলেন রাসেল ।যার মাধ্যমে নীরব-নিভৃতে আর্তমানবতার সেবায়, মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচাতে নিরলস কাজ করে চলেছে। এই গ্রুপের বর্তমান সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন।

শরীরের রক্ত দিয়ে তারা অন্যের জীবন বাঁচাতে জাগরিত প্রাণ। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন অভিনব এই ব্লাড ব্যাংক। অন্যের রক্ত যোগাড় করে দেওয়ায় যাদের কাজ। রক্ত কোন ব্যাগে ভরে রাখা হয় না, থাকে ডোনারের শরীরে। আর ডোনারের নাম, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও ফোন নম্বর লেখা থাকে রেজিষ্ট্রারে। প্রায়োজনেই স্থানীয় হাসপাতাল, ক্লিনিকে গিয়ে বিনামূল্যে রক্ত দান করেন ডোনাররা।

আর্তমানবতার সেবায় চলতি বছরের ২৫ মার্চ গ্রুপটি খোলা হয়। গ্রুপের পরিচালক রাসেল আহমেদ এর সঙ্গে কথা হয় দৈনিক দেশান্তরের প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, কসবা ব্লাড ব্যাংক খোলার মূল উদ্দেশ্য রক্তের চাহিদা পূরণ  করা।  রক্তের অভাবে যেনো কোনো রোগী মারা না যায় সেই দিক বিবেচনা করে মূলত গ্রুপ টা খোলা হয়েছে। আর আমরা যারা যুবক আছি আমাদের দায়িত্ববোধ  থেকে মনে করি এই সমাজের জন্য দেশের জন্য এবং গরিব অসহায় মানুষের জন্য কি করার আছে!  সেই জায়গা থেকেই গ্রুপ টা খোলা হয়েছে। গত ২৫শে মার্চ ২০২১ তারিখ থেকে সততার সাথে আমরা আমাদের কার্যক্রম  চালিয়ে যাচ্ছি।  গ্রাম পর্যায় থেকে আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত  ব্লাড  ডোনেট করছি।  আমরা আপনাদের কাছে দোয়া পার্থী যেনো আমাদের ব্লাড ডোনেট কার্যক্রম সামনে আরো এগিয়ে নিতে পারি।

গ্রুপে মূল্য উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি জানান, মুলত রক্তের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের সাথে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীদের একটি সরাসরি সেতুবন্ধন করে দেয়াই এর কাজ! রক্তের জরুরি প্রয়োজনে কাউকে যেন দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক ছোঁটাছোটি করতে না হয়, অসহায় গরীব মানুষগুলোকে যেন উচ্চমূল্য দিয়ে রক্ত কিনতে না হয়, সেই ব্যবস্থাই করে দেয়।

আমরা অনেক সময়ই যে গ্রুপের রক্ত হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াই, সেই গ্রুপের কোন রক্তদাতা হয়ত আমাদের আশেপাশেই থাকে, কিন্তু না জানার অভাবে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনা। সেই যোগাযোগটিই করে দেয় ‘কসবা ব্লাড ব্যাংক’!

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন