fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী যারা রাজাকারের পক্ষে শ্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জরাজীর্ণ কুবির পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা! দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

                                           
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
জরাজীর্ণ কুবির পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা! দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

মীর শাহাদাত/কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ, বিভিন্ন ভবনের বাথরুম ও বেসিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বেহাল দশা বিরাজ করছে। প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনগুলোর অধিকাংশ বাথরুম ও বেসিনের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা, পানির কলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো উদ্যোগ । ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আঙ্গিনা ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাথরুম ও বেসিন নষ্ট এবং বাথরুমের সামনের জায়গা স্যাঁতসেঁতে। এ ছাড়া অধিকাংশ বেসিন ও বাথরুমের পানির কল নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের দুটি ব্লকের প্রতিতলায় ছয়টি করে বাথরুম ও বেসিন থাকলেও অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী। নিচতলার একটি ব্লকে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি বাথরুমের দুটিতে তালা লাগানো, আরেকটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া তিনটি বেসিনের একটিও ব্যবহারের উপযোগী নেই। ভবনের ৫ম তলায় লাইব্রেরি থাকলেও নেই কোনো ধরনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের প্রতি তলার দুই ব্লকে আটটি বাথরুম ও ছয়টি বেসিন থাকলেও অধিকাংশ বেসিনই ব্যবহারের একবারে অনুপযুক্ত। অধিকাংশ সময় বাথরুমগুলো বন্ধ থাকলে উন্মুক্ত বাথরুমগুলোতে নেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহন চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে আসার পর সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে পেলেও বাথরুম, বেসিন ও পানির কল নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিব্রতকর অবস্থায়। সুস্থ্য পরিবেশের অভাবে অনেকটা নোংরা পরিবেশের মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে আমাদের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ বিহীন কর্মকাণ্ডই সুস্থ্য পরিবেশের পথে বাধা।

জনবল সংকট ও ডিন অফিসের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, ”পুরো ক্যাম্পাস আমাদের নজরদারি করা সম্ভব হয় না । একাডোমক ভবনগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য আমাদের জনবল ঐখানে থাকলেও তাদের পরিচালনার দায়িত্ব ডিন অফিসের।”

পরীক্ষা নেওয়ার আগে এস্টেট শাখা পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালিয়েছে বলে মত প্রকাশ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ। তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে অবগত করলে তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে তারা করেছে কি? ক্যাম্পাসে তো তারা দশজন জনশক্তি নিয়োগ করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিয়ান চালিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব)ড. মো. আবু তাহের বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, তারা এ কাজগুলো করে রাখে না কেন। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন