ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচের বয়স তখন কেবল আট মিনিট।ডি-বক্সে ক্যারাস্কোকে লক্ষ্য করে ক্রস সাবেক বার্সা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের, জাল খুঁজে নিতে ভূল করনি ক্যারাস্কো । লিড নেয় অ্যাটলেটিকো । ঘরের মাঠে বার্সার এই বিপক্ষে এই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না । ম্যাচের বয়স যখন দশ মিনিট অর্থাৎ অ্যাটলেটিকোর গোলের ২ মিনিট পরেই দানি আলভেজের দুর্দান্ত ক্রসে আলবা সমতায় ফেরায় বার্সাকে ।
এরপর পিছনে ফিরতে হয়নি গোটা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে কাতালান ক্লাবটি । ২০ মিনিটের মাথায় সদ্যই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডার্স থেকে অ্যাডামা ত্রায়োরেকে নিয়ে আসা যে বার্সার ভূল নয় এটা প্রমাণ করলেন । তার ক্রসে লাফিয়ে উঠিয়ে মাথা ছোঁয়ান গাভিরা। দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন ত্রায়োরে। অ্যাটলেটি গোলরক্ষক জান অবলাকের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায় আর বার্সা লিড নেয় ২-১ গোলের।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে এসে সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল হেড করেন ফেররান তোরেস। কিন্তু তার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ। সেই সুযোগে বল পেয়ে তা হেড করেই জালে পাঠিয়ে দলকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন আরাহো।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৪৯ গোলের হালি পূর্ণ করেন দানি আলভেজ। দীর্ঘসময় পরে বার্সায় ফিরে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন এই কিংবদন্তি ফুলব্যাক। তবে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল অ্যাটলেটিকোও। বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ৫৮ মিনিটে হিমিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৪-২ করেন।
ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট আর একটি গোল করা দানি আলভেজ নায়ক থেকে খলনায়কও বনে যেতে পারতেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ক্যারাস্কোকে পেছন থেকে গোড়ালিতে লাথি মেরে ফাউল করলে রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান আলভেজকে। এরপর ম্যাচের বাকি থাকা প্রায় ২২ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বার্সাকে। ঘটে পারত যেকোনো অঘটনই। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের স্কোরলাইন আসেনি কোনো পরিবর্তন। আর এতেই দীর্ঘ দুই বছর পর অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে জয় পায় বার্সেলোনা।