চাষি!
মোর ধান খেল মৌমাছি।
গত বছর কিছু জমিয়ে ছিলাম
বাঁধিয়া ছিলাম আশার ঘর
কাদা মাঠে গিয়ে নেমে গিয়ে ছিলাম
নিজেরে করিয়া পর।
স্বপ্ন ছিটিয়ে;যন্ত করিলাম
প্রখর রোদে ঝরে ঘাম
নিজেরে নিজেই কহিলাম তব
এইবার পাব দাম।
তিলে-তিলে সোনা ফলে
রক্ত করিয়া পানি
বাড়ির উঠানো বাধিয়ে রেখেছি
ধান রাখার গোলাখানি।
অবশেষে মোর ক্ষেতটা হাসে
হৃদয়ে খুশির জোয়ার
বউরে কহিলাম,
এ বছর তবে “অনাহারে”
থাকিতে হবেনা আর।
ধান কেটে এনে মাড়াই করিলাম
এলো যে সুখের দিন
বাবু মশাই! এসে,কহিল বসে
ভুলে গেছ কি ঋণ?
মুড়ি খেতে দিয়ে কহিলাম তব
না-না বাবু,সব মনে তো আছে
আপনার দু’শ মুদ্রা দিব
সোনা বেচার পাছে।
ধমক দিয়ে কহিল রতন
কিসের দু’শ মুদ্রা
সেদিনের ঋন হয়ে গেছে আজ
হাজারের ঘর ছাড়া।
শুনিয়া আকাশ ভেঙ্গে পড়িল
বেপারির কাছে গেলাম
কষ্টের ফসল বিকিয়ে দিয়ে
অল্পই কিছু পেলাম।
ঋণের টাকা দেওয়ার পরে
কাছে থাকিল কিছু
আবার সেই অনাহারের
ভাগ্য ছাড়িলনা পিছু।
বউ এসে,কহিল হেসে
ধান দাও চাল বাচি
কহিলাম ওগো,
আমি তো “চাষি”
তাই ধান নিয়ে গেছে
ডানাহীন মৌমাছি!!