একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে শিল্প কারখানার কোনো বিকল্প নেই । বিভিন্ন উন্নত দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,প্রথম দিকে তারা কৃষি ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূূর্ণতা অর্জন করে এবং এ ক্ষেত্র থেকে উদ্ধৃত অর্থ দিয়ে কৃষি ভিক্তিক শিল্প গড়ে তোলে। যা থেকে একটি কৃষি অর্থনীতি বিকাশ লাভ করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় শিল্পের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করে আর যে দেশের শিল্প-কারখানায় যত বেশী উন্নত, সে দেশ অর্থনৈতিকভাবে তত বেশী উন্নত।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত হল চামড়া ও চামড়া জাত দ্রব্য। এ চামড়া দিয়ে জুতা, প্যান্টের বেল্ট,ব্যাগ, মানি ব্যাগ,লেদারসহ নানারকমের পণ্য তৈরি করা হয় এবং সঠিক মানে উৎপাদিত পণ্যের দেশেবিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর এই চামড়াগুলো আমাদের দেশের সাধারণ কৃষক ও খামারীদের পশু থেকে পাওয়া যায়।এছাড়া দেশের সিংহভাগ চামড়া কুরবানির পশু থেকে উৎপাদিত হয়। এ শিল্পের সাথে দেশের সাধারণ জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে, রয়েছে দেশের কৃষকের পশুগুলো মুল্য কমবেশি হওয়ার সম্ভবনা।আমরা যদি২০১৩ সাল বা তাঁরো আগের বছর গুলোর দিকে থাকাই তাহলে দেখা যায়, যে চামড়া গুলো ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হতো বর্তমানে তা ১০০ থেকে ২০০ টাকা এমনকি গ্রামের প্রত্যান্ত এলাকায় এ চামড়া গুলোর মুল্যই পাচ্ছে না,কোথাও পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে পানি দূষণ করা আবার কোথাও মাঠি গর্ত করে পুতে রাখা হচ্ছে। চামড়া শিল্পের আশু সমস্যা থেকে উত্তোরণে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এগুলো কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
১! সরকার ও ব্যবসায়িদের আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
২!বিশ্বের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় করে মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে ব্যবসায় কোনো দেশ আমদানি বন্ধ করলে সাথে সাথে এর বিকল্প বাজার খুঁজে বের হবে।
৩।চামড়ার বিকল্প উৎপাদন, ব্যবহার বন্ধ করে,চামড়ার জাত দ্রব্য আমদানি বন্ধ করে দেশী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
৪! তৃণমূল পর্যায় থেকে চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে বাজারজাত করতে হবে। এভাবেই আমাদের দেশের সাধারন মানুষ তাদের পালিত পশুরচামড়ার ন্যায্য মূল্য পাবেন,রক্ষা পাবে চামড়া শিল্প,স্বল্প দামে সাধারণ জনগণ ব্যবহার করতে পারবে চামড়ার জুতা,প্যান্টের বেল্ট,লেদারসহ প্রয়োজনীয় চামড়াজাত দ্রব্য।
লেখকঃ
প্রভাষক মোঃরাহিমুল ইসলাম
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ
দিরাই, সুনামগঞ্জ।