চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৗরসভায় প্রথমবারের মত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নারী-পূরুষ লম্বা লাইন দিয়ে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করছেন।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ এবং ভোট দিতে পারায় ভোটাররাও খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচনকে ঘিরে পুরো এলাকা জুড়েই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ। কোন ভোট কেন্দ্র থেকেই কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গুঠইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। গুঠইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৪ বছরের হাসিনা বেগম নামে এক বৃদ্ধা ও ৭৫ বছরের অন্ধ ভোটার বৃদ্ধ নাইমুল হক তার স্ত্রী হাত ধরে ভোট প্রদান করেন। এবারে নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভাল তাই যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট দিতে আসা।
মুন্সী হযরত আলী উচ্চ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আল গালিব জানান, এ পর্যন্ত ২৫ ভাগ ভোট প্রদান করেছে। এদিকে, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশিদ ঝালু খান ভোট প্রদান করেন। এছাড়া ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোসাঃ মাসউদা আফরোজ হক শুচি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টায়, রেল ইঞ্জিন প্রতীকের মোঃ আমানউল্লাহ আল মাসুদ ও চামচ প্রতীকের মোঃ রেজাউল করিম বাবু ভোট প্রদান করেন। ভোট কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নাচোল পৌরসভা রির্টানিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩০ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। নিরাপত্তায় ৩ স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান দল, র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আব্দুর রশিদ ঝালু খান, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোসাঃ মাসউদা আফরোজ হক সুচি, বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রেল ইঞ্জিন প্রতীকের মোঃ আমানউল্লাহ আল মাসুদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চামচ প্রতীকের মোঃ রেজাউল করিম বাবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের এ পৌরসভায় ১৫ হাজার ৮ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ২’শ ৪০ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৭’শ ৬৮ জন।