স্টাফ রিপোর্টারঃ মেহেরপুরের গাংনীতে একই জমি দুজনের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বামুন্দি গ্রামের গুলজার আলীর ছেলে আকাশ আলীর নিকট বালিয়াঘাট গ্রামের তায়েজ আলীর ছেলে নাজমুল হুদা আড়াই শতাংশ জমি কেনার জন্য বায়না করে পরবর্তীতে আকাশ আলী বায়নার টাকা ফেরত না দিয়ে গোপনে অন্য একজনের কাছে জমিটা বিক্রি করে।
এ ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি ২০২২ তাং নাজমুল হুদা বাদী হয়ে গুলজার আলীর ছেলে আকাশ -কে প্রধান আসামী ও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জোনাকি খাতুনকে ২নং আসামী করে মেহেরপুর আদালতে একটা মামলা করেন। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী আকাশের নামে ওয়ারেন্ট জারী হয়েছে।
মামলার বাদী নাজমুল হুদা জানান,গত ২৩-ই মে ২০২০ সালে ১,৫০০০০ টাকার বিনিময়ে গুলজারের ছেলে আকাশের নিকট আড়াই শতাংশ জমি কেনার বায়না করি। কিন্তু আমার বায়নার টাকা ফেরত না দিয়ে বালিয়াঘাট গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জোনাকি খাতুনের নিকট জমিটি বিক্রি করে দেয়। নাজমুল আরো বলেন,সম্পর্কে আমার চাচী জোনাকি খাতুনের বাড়িতে জমি কেনার বায়নানামা করি কিন্তু এখন জমির মূল্য আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে গত ডিসেম্বরে গোপনে জমিটা তার নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়।
মামলার প্রধান আসামী আকাশ বলেন,আমি আড়াই শতাংশ জমি বিক্রির জন্য নাজমুলের নিকট ৬০,০০০ টাকা বায়না নিয়েছিলাম কিন্তু যে কোন কারন বসত জমিটা আমার সম্পর্কে মামী জোনাকি খাতুনকে রেজিস্টার করে দিয়েছি। বায়নানামার টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,আমি যে ৬০,০০০ টাকা জমির বায়না হিসাবে নিয়েছি সেই টাকা ফেরত দিব। মামলার অপর আসামি জোনাকি খাতুনও একই কথা বলেন,জমির বায়না যে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই টাকা ফেরত দিব। আমরা নাজমুলের নিকট সময় চেয়েছিলাম কিন্তু সে সময় না দিয়ে আমাদের নামে মামলা করেন।