মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে মহিলা কর্মচারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার(১৮মে) বিকাল ৩ টায় উপজেলার বামুন্দী করবি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিকে বুধবার দিনভর নানা চেষ্টা তদবির করার পর রাতে মোটা অংঙ্কের টাকা বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে ঐ এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাঝে ২-লক্ষ টাকায় সমাধান করা হয়। একটি লিখিত স্ট্যাম্পে ওই মহিলার স্বাক্ষর নেওয়ার পর রফাদফা করা হয়। ওই স্ট্যাম্পে লেখা ছিল আমি বেতন জনিত কারণে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি( স্বাক্ষর নেওয়ার ভিডিও ক্লিপটি রয়েছে প্রতিবেদক এর আছে)।
তবে ক্লিনিক মালিক এ ঘটনা সাজানো বলে দাবি করলেও এ ঘটনার নানা কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। (অডিও ক্লিপটি প্রতিবেদনের কাছে রয়েছে)।
অডিও ক্লিপে ঐ মহিলার কন্দনরত অবস্থায় দাবি করেন,সিড়ি দিয়ে নামার সময় করবি ক্লিনিকের মালিক বামুন্দী বাজার এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী ইছার উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ জোর পূর্বক জড়িয়ে ধরে শ্লিলতাহানির চেষ্টা করে। বারবার অনুরোধ করার পরও ছেড়ে না দিলে তার ১৫ বছরের ছেলে ঘটনাটি দেখে।
আপা (বিদ্যুৎ এর স্ত্রী)আমাকে বিশ্বাস করে আপনি আমার সাথে এ ধরনের আচরন কইরেন না বলে পুনরায় কেঁদে উঠেন মহিলা কর্মচারী।
তবে ঐ করবি ক্লিনিকের মহিলা কর্মচারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
গাংনী উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা বলেন,অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে ঐ মহিলা কর্মচারীর সাথে ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ একটু ঝামেলা হয়েছে এটা জনৈক্য লাল্টু নামের এক ব্যক্তি ঘটনাটি রংচং মাখিয়েছে বলে ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে। তবে মুল ঘটনাটি এখনও জানতে পারেন নি।
তবে লাল্টু জানিয়েছে,তাকে বাদ দিয়ে কয়েকজন বিষয়টি সমাধান করেছে বলে শুনেছেন তিনি। তবে তিনি এ বিষয়ে আর কোন কথা বলতে পারবে না।
এ ব্যাপারে গাংনীর থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি,যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(আগামিকাল পড়ন জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর ক্রেডিট এন্ড কো অপারেটিভ জালিয়াতি ,জেল হাজতবাস ও ক্লিনিক সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিবেদন)।
উল্লেখ্যঃ ওই ভিডিও ক্লিপটি তে দেখা যায় ওই নারী ও লাল্টুসহ বেশ কয়েকজন লিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে।