মেহেরপুরের গাংনীতে গোরস্থানের আয় ব্যয় এর হিসাব নিকাশকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বাওট গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ সময় উপজেলার বাওট গ্রামের আবু বক্কর এর ছেলে দুলাল হোসেন(৫২), মৃত ছহির উদ্দীনের ছেলে মিল্লাল হোসেন(৫৫) ও মিন্টু মিয়া(৩২) আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান মেম্বার শাহাবুদ্দিন ও সাবেক মেম্বার নিয়ামত আলীর মধ্যে নিজ গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থান এর আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশের জন্য উপজেলার বাওট কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দু’পক্ষ একত্রিত হয়। কথা বার্তা চলাকালিন সময়ে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে বাওট ভুটির দোকান বাজার ও বাওট বাজারে দু দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তারা আহত হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য নিয়ামত আলী জানান, আমার গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থান এর সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম গত ২ বছর আগে কমিটি ভেঙে দেন। এরপর থেকে শাহাবুদ্দিন মেম্বারের লোকজন বিভিন্ন অনিয়ম করে এসেছে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি আরো জানান,আমার ৩’শ-৪’শ লোকজন বাজারে অবস্থান করছি।
এ ব্যাপারে বর্তমান ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গোরস্থানের আয়-ব্যয় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মাইকিং করে গ্রামের সকল লোককে একত্রিত করি। এ সময় কয়েকজন পিছন থেকে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য সাবের মণ্ডলের ছেলে নিয়ামত আলী(৬৫) ও ফজলু(৫২), আব্দুর রশিদের ছেলে মাসুদ রানা(৪০), মৃত গোলাপ আলীর ছেলে কালু(২৮), মমিনের ছেলে সোহান(২৫), মনসুরের ছেলে একলাস(২৯), মৃত আব্দুল বারীর ছেলে টোকন(২৯), মৃত আজিত মালিথার ছেলে নিজাম ঠান্টু(৪০) ও মৃত রহিম বক্স এর ছেলে এনামুল(৪২) দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার বেশ কয়েকজন লোককে পিটিয়ে আহত করে। এর মধ্যে দুলাল হোসেন মারাত্মক আহত হয়। তাকে প্রথমে বামন্দি সোনার বাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করে এবং পরে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।