নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজের চাহিদা বেড়েছে বাজারে। ইফতারেও ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের তরমুজই পছন্দ তালিকার শীর্ষে। কিন্তু সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
তরমুজ ব্যবসায়ীরা আগের সব নিয়ম ভঙ্গ করে পিস হিসেবের পরিবর্তে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। তবে ক্রেতাদের সিন্ডেকেটের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। লকডাউন ও ভালো ফলন না হওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছেন তারা।
দেখা গেছে, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ফতেপুর বাজার, আমাইতাড়া, উপজেলা গেটের সামনে, মঙ্গলবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ টাকার তরমুজ একলাফে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে ।
অভিযোগ উঠেছে বাজারে তরমুজ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ক্রেতা সাধারণের কাছে সুজুক বুঝে চড়া দাম হাকাচ্ছেন। অথচ মাঠ পর্যায়ে তরমুজের দাম অনেক কম হলেও বাজারে কেন চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে তার সদুত্তর মিলছেনা। শুধু তাই নয়, পাইকারী বাজারে দোকানিরা প্রতি পিচ হিসেবে (শ’চুক্তিতে) তরমুজ কিনলেও খুচরা বাজারে তারা বিক্রি করছেন কেজির মাপে। ফলে একেকটা তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছেননা সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা মনে করেন, এত ভারি একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। ৫ কেজি প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ২৫০-৩০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
আমাইতাড়া বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মো. আফতাব হোসেন জানান, জয়পুরহাটের মোকাম থেকে আমরা ২৩ হাজার থেকে প্রকার ভেদে ৩৫ হাজার টাকা শও চুত্তিতে তরমুজ কিনেছি। বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে তিনি এও বলেন আগের সপ্তাহে যে তরমুজ ১৩ থেকে ১৬ হাজার টাকায় কিনেছি তা এ সপ্তাহে বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।
কেজিতে কেনো তরমুজ বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই দোকানি বলেন, ’এ দেশে সবই সম্ভব। যেভাবে বেজবেন সেভাবেই বিক্রি হয়’।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনপতি রায় বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। বিষয়টি দেখা হবে।