শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনকর্মীরা। দেশের শিক্ষার্থীদের ঘোষিত নয় দফা দাবির পাশাপাশি এসময় চার দফা দাবি তুলে ধরেন তাঁরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ চারদফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোন ধরণের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না, শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোন ধরণের হয়রানি করা যাবে না।সর্বশেষ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী সুজয় শুভ জানান,আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। সরকার আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধন করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচী নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে। আমরা সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে ঘৃণা করেন বলে জানায় তাঁরা।