কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় হাবীব সা.’র উঁচু মর্যাদা ও মহত্ত্ব বর্ণনা করে বলেন,
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلَّمُوا تَسْلِيمًا.
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের দুআ কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। -[সুরা আহযাব-৫৬]
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহর পক্ষ হতে নবীর প্রতি সালাত’র মানে হল, নবীর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় এবং আল্লাহ ফেরেশতাগণের সামনে তাঁর প্রশংসা করেন। আর ফেরেশতাগণের পক্ষ হতে সালাতের মানে হল, তাঁরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্য রহমতের দুআ করেন। আর মুমিনের পক্ষ হতে সালাত ও সালাম নবীজির জন্য রহমত ও শান্তির দুআ করার অর্থে এসেছে। ঊর্ধ্বলোক ও মর্ত্যলোক অর্থাৎ আসমান ও জমিনে সব জায়গায় পয়গম্বর সা.’র অবস্থান ও মর্যাদা এতো উঁচু যে, অন্য কোনো মাখলুক এর চাইতে উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছতে সক্ষম নয়। এটা বয়ান করা এই আয়াত নাযিল করার উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির-১০৬৭)
উলামায়ে কেরামের অভিমত হল যে, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে কমপক্ষে একবার দুরুদ শরিফ পড়া ফরজ। এবং যে বৈঠকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র নাম শুনবে সেখানে দুরুদ শরিফ একবার পাঠ করা ওয়াজিব। আর যদি ওই বৈঠকে হজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র নাম বারবার উচ্চারিত হয় তাহলে প্রতিবার দুরুদ পড়া মুস্তাহাব।
মানুষ যত বেশি দুরুদ শরিফ পাঠ করবে সে ততো বেশি উপরোক্ত আয়াতের বিধান পালনকারী গণ্য হবে।
রব্বে কারীম আমাদের সকলকে আল্লাহ তায়ালা বেশি বেশি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।