fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মেহেরপুর গাংনীতে যুবদল নেতা মালেক হোসেন চপলের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক খবরের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের স্বরণে স্বরণসভা ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের সন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ১১০ দাবি গাংনীতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে মাভাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করা হোক মিরসরাইয়ে জাগ্রত প্রতিভার কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের প্রতি শিল্প উপদেষ্টার আহ্বান কোন অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেয়া যাবে না- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ঐতিহ্য ‘যাতা’

                                           
Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

মোসফিকা আক্তারঃ

কালের আবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ‘যাতা’। কিছু বছর আগেও গ্রামের গৃহবধূরা যাতা দিয়ে চাল ও গম থেকে চালের গুঁড়া ও আটা-ময়দা তৈরি করতো। এছাড়া যাতা দিয়ে ভাঙানো হতো মুসুরী, খেসারী, মাশ কলাইসহ প্রভৃতি রকমের ডাল। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে যাতা কল।

পাথরের তৈরি যাতা, খুবই মসৃণ দুই খ- পাথর কেটে গোল করে তৈরি করা হতো। সেই খন্ড দুটির ভেতরের ভাগকে লোহার তৈরি বিশেষ বাটাল বা যন্ত্র দ্বারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চটলা করে এর ধার বাড়ানো হয়। যাতার উপরের এবং নিচের অংশের মাঝ বরাবর একটি ছিদ্র করা হয়। সেই ছিদ্রের মাঝে কাঠ বা বাঁশ দ্বারা তৈরি একটি হাতল লাগানো হয় যা দুই পাটকে এক জায়গায় রাখতে সাহায্য করে।

দুই ছিদ্রের মাঝে বিশেষ খাঁজ কাটা দ- থাকে যার সাহায্যে পাট দুটির মাঝে কতটুকু ফাঁক থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়। শুধু উপরের পাটে আর একটি ছিদ্র করা হয় যা দিয়ে শস্যকে ভিতরে পাঠানো হয় পিষার জন্য। গৃহবধূরা মাঝের ছিদ্র হাতল ধরে আরেকটি ছিদ্র দিয়ে শস্য ভিতরে দিয়ে হাতল ধরে জোরে ঘুরাতে থাকে। এতে শুধু উপরের পাট নিচের পাটের উপর ঘুরতে থাকে এবং দুই পাটের ঘর্ষণের ফলে উপর হতে দেওয়া শস্য ভেঙে গুঁড়া হয়ে দুই পাটের চার পাশের ফাঁক দিয়ে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় ডাল ভালোভাবে গুঁড়া হয় না। ফলে সেগুলিকে পুনরায় ভিতরে দিয়ে যাতা ঘুরিয়ে ভালো করে গুঁড়া করা হয়। দুই পাটের মাঝে থাকা খাঁজ কাটা দ-ের মাধ্যমে দু’পাটের ফাঁক কম বেশি করে শস্যের আটা বা ডালের গুঁড়া কেমন হবে তা নির্ধারণ করা হয়।

যাতা পাথরের তৈরি হওয়ায় কাজ চলাকালীন সময়ে যাতা থেকে এক ধরনের মিষ্টি শব্দ শোনা যেতো। কিন্তু বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের কোথাও যাতার ব্যবহার তেমন আর চোখে পড়ে না।কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ঐতিহ্য 'যাতা'

উন্নত মানের মেশিন তৈরি হওয়ার কারণে কেউ আর যাতা চালাতে চায় না। কিন্তু তারপরও সদর উপজেলার পাতাড়ি গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার যাতাকে ঐতিহ্য হিসাবে ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন। গ্রামের বাসিন্দ মোড়লের বাড়িতে আজও যাতার ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়াও একই এলাকার তরিকুল বাড়িতেও যাতা রয়েছে। যদিও তা আর ব্যবহার হয় না। হয়ত আর কিছু দিন পর এ যাতা কালের আবর্তনে হারিয়ে যাবে।

সাপাহার থানার উচ্চডাঙ্গাগ্রামের শিক্ষক গোলাপএই প্রতিবেদকে বলেন , আধুনিকতার যান্ত্রিকের কবলে পড়ে হারিয়ে গেয়ে গ্রামের অনেক ঐতিহ্য । আর এর মধ্যে অন্যতম হলো যাতা ।

এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা উপ-ব্যবস্থাপক ( বলেন,আধুনিকতার ছোয়ায় যাতা শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে ।আধুনিক কালে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কাজ করতে চাই ।

তিনি আরও বলেন যাতা ব্যবহারে যে চাল ডাল ভাঙা হতো তা অনেক পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত । সেকারণে পুষ্টির দিকে লক্ষ করলে বুঝাযায় যাতা ভাঙা দ্রব্য ব্যবহার করলে রোগ বালাই কম হয় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

Raw Food BD Mustard Oil

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Raw Food BD Mustard Oil