কল্পনায় তুমি
মোঃ মাইনুল ইসলাম
তুমি বার বার বল তোমায় নিয়ে লিখি না কেন!
কিভাবে লিখব বল!
তোমায় নিয়ে এত উপমা,
এত শব্দ কথায় পাব।
সব যে তুমি দখল করে নিয়েছো!
তুমি এমন এক কমলতা যা রুক্ষ
মাটির জন্য একরাশ প্রশান্তি!
তুমি ডুবন্ত নাবিকের কিংবা পথ হারা
পথিকের জীবন্ত অস্তিত্ব।
তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে
আমার শব্দকোষ শূন্য হয়ে পড়ে।
তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে সবকিছু
কেমন করে জানি গুলিয়ে যায়।
সবকিছু যেন সপ্ন সপ্ন মনে হয়।
হয়ে পড়ি বাকরুদ্ধ হয়ে।
তোমায় নিয়ে যতই লিখি
খুব কম হয়ে যায়।।
তোমার ও চোখ দুটি ঠিক কিসের মত জানিনা।
তবে ও চোখে তাকালেই প্রেমে পড়ে যায়।
চোখে চোখ রাখলেই নিমিষেই যেন
পাড় করে ফেলি সহস্রাব্দ বছর।
তোমার মনে আছে..?
প্রথম যেদিন তোমার চোখে চোখ রেখেছিলাম;
তোমায় বলেছিলাম তোমার চোখ দুটো আমায় দেবে!
তুমি এক গাল হেসে বলেছিলে আমি কি বাড়ণ করেছি..?
তুমি নাটোরের বনলতা সেন
কিংবা পরী না হতে পারো;
তুমি কল্পনার সেই ছবি,
যার সাথে দুদন্ড কথা বললে
এক সমুদ্র ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
তুমি হয়ত জানোই না;
তোমার ঐ কমল হাতের ছোয়ায়
সতেজতা আসে রুক্ষ গোলাপে;
কেটে যায় মরুভুমির রুক্ষতা!
নুপুর পায়ে তুমি যখন বৃষ্টিতে ভিজো;
তোমার আকা-বাকা চলন নুপুরের আওয়াজ
আর বৃষ্টি কণা চারোদিক শিহরিত করে তুলে।
এ যেন আকাশের মেঘ কন্যা মাটিতে এসেছে ।
পরীরাও যেন লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে নিত।
মায়াবি মুখের এক ফালি হাসি ভুলিয়ে দেয় সকল বেদনা।
এ যে এক নতুন সূর্যোদয়।
পড়ন্ত বিকেলে তোমায় নিয়ে যখন কোথাও ঘুরতে যেতাম;
তোমার খোলা রেশমি চুল বাতাসে দোল খেতো ;
তা দেখে মাঝে মাঝে মনে হত,
দিবা সপ্ন দেখছি না তো!
তুমি এক পলক ছুয়ে দিয়ে;
আমার ভ্রান্তি কাটিয়ে দিতে।
তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে
সত্যিই শব্দের টানাপোড়ন পড়ে যায়।
তাই তোমায় কবিতাই নয়;
বাস্তবে রেখে দিলাম:
কিংবা আমার কল্পনায়।।।