গরম এলেই বেড়ে যায় বিদ্যুৎ বিল। কারণ বাতি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ব্লেন্ডার, আয়রন মেশিনসহ আরো অনেক কাজে বিদ্যুৎ খরচ তো হয়ই।
তবে মাস শেষে বিদ্যুতের বিল এলে অনেকের মাথা নষ্ট হয়। এসি ব্যবহার না করেও অনেকের ইউনিট বেশি পুড়েছে। জানেন এর কারণ কি?
শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বিলের খরচ কমানো সম্ভব। আসুন জেনে নেই বিদ্যুৎ বিল কমানোর কৌশল।
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে, বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সিএফএল বা এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।
কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।
ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম।রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার উপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে।নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।
এছাড়াও আর্থিং বা গ্রাউন্ডের সঠিকতা যাচাই করুন। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার মিটারের সোর্স সাইডে সংযুক্ত করুন। উপরোক্ত কৌশল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায়।