একক আল্লাহ
শেখ সাবাব রহমান সজিব
বিশ্ব ভূ’খণ্ড দু’চোখে দেখো চেয়ে
আসমান থেকে সমস্ত জমিন; একক আল্লাহ্ মেনে মাথা নত
করো; বিশ্বাসী ঈমানদার মুমিন।
কিয়ামত’র দিন মাঠে পাবে সকল
নেককার দীনি মুসলিম জামিন,
জাহান্নাম নয়! জান্নাত চাই মোরা
নিজ মুখে মনেতে বলি আমিন।
ধূ-ধূ প্রান্তে পথের শেষে দাঁড়িয়ে
দুই চোখ যেদিকে দৃষ্টি ফেরায়,
আল্লাহর সৃষ্টির অপরূপ ধরার
মায়ায়; নিজেকে আড়ালে হারায়।
পৃথিবীর চারিদিকে সৃষ্টি যাহা
স্ব’চোখে তাকিয়ে দেখেছি আমি,
সুনিপুণ হাতে নিখুত সৃষ্টি তাহা;
নিজে হাতে গড়েছো আল্লাহ তুমি।
আল্লাহকে চিনিতে যথেষ্ট সৃষ্টি
নিয়মতে পূণ্য জগত আসমান,
দৃষ্টি ফেলিয়া খুঁজিয়া দেখ পড়ে;
সঠিক সমাধান দিয়েছে কুরআন।
পূর্ণিমা রাতের ঐ চাঁদের আলো,
চোখ পড়ে সৌন্দর্যের অপার দৃষ্টি
বর্ষা কালের অঝরে ঝরা বাদল;
মানুষ তাহার সেরা গড়নে সৃষ্টি।
অরণ্য বনে পাখির কোলাহল,
গাছ-গাছালী ও সবুজ তরুলতা;
রোজ সকালে মনে জপে,
তোমার গুণাবলী নামের কথা।
পাহাড়-পর্বত, সাগর-সমুদ্র ধারা
বয়ে চলে তারই হুকুম ইশারায়।
দিনের সূর্য, রাতের সুন্দরী চাঁদ;
অসীম আকাশে নিরাল সাজাই।
অক্সিজেন,পানি পানে জীবন বাঁচাই,
তোমার অশেষ পাওয়া নিয়ামত;
বিচার কার্য শুরু করিবে হাশরে
যেদিন, হইবে রোজ কিয়ামত।
ফুরিয়ে যাবে ঐ কলমের কালি,
গভীর সমুদ্রের তলে অকূপ পানি;
তবুও শেষ হবে না তোমার
দয়ার পাহাড় ও জমা মেহেরবানি।
আল্লাহ পৃথিবীর সর্বত বিরাজমান,
আড়ালে নয় কেহ দেখেন রোজ;
গভীর রজনীতে কালো পাথরে থাকা
. সকল পিপিলিকার রাখেন খোজ।
গভীর জলের নানান রকম মাছ,
অরণ্য বনের সাতরঙা সব পাখি ;
কালো আধারের জোনাক পোকা,
মানুষও ভয়ে থাকে এলে বৈশাখী।
বাধা-বিপত্তি সব আপসে একতা
বিশ্বে মানব ধর্মে ইসলাম হবে জয়।
আজানের ধ্বনি কানাতে এলে হও
হুশিয়ার; চুপে বসে থাকা আর নয়।
কথা দিয়ে রবকে এসেছি ভবে
ইবাদত করবো জিন্দেগী ভরে।
পৃথিবীর সবখানে বিরাজমান প্রভু,
জীবন থাকিতে ভুলিবো না কভু।
সৃষ্টি জগতে আল্লাহর পরিচয়
পেতে চোখ মেলে দেখ মুসলমান।
মুসলিম হয়ে আমি করেছি বিনয়,
রবকে চিনিতে পড় আল কুরআন।
আল্লাহর বাণী রবে পৃথিবীব্যাপি,
মুছিতে পারিবে না জগতে কেহ;
লাখো হাফিজের বুকে সে কালাম,
কি হবে ঝরিয়ে রক্ত কাটিলে দেহ।
আল্লাহর কালাম আছে অন্তরে-
বিলীন করার পাবে না উপায়;
সৎপথে এসে মুখে জপে বাণী,
ইমানকে মজবুত করে লও ঠাঁই।
মুহাম্মদ এসে ভবে দ্বীনের আলো
ছড়িয়ে, শান্তি রক্ষা গোটা জগতে;
আঁধার থেকে মুক্তি পেল লক্ষ মানব,
বিশ্বজাতি আসলো ডাকে সৎ পথে।
আল্লাহকে না দেখে সাক্ষী মেনে,
ধন্য মুসলিম হয়ে জন্মেছি মোরা;
জান্নাত কি দু’চোখে দেখেনি তাহা-
তবুও যাওয়ার ইচ্ছা হৃদয়ে ভরা।
তোমার প্রসংশা করে গেছে-
রাসুল, সাহাবা ও বিশ্বওলী;
প্রসংশা করে শেষ হবে না,
তোমার নামের সব গুণাবলি।
তোমার কৃপায় সৃষ্টি বিশাল ধরা,
জীব খুজে পায় সেথায় আহার;
প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছো মোর প্রভু,
শুধু প্রসংশা করি খোদা তোমার।
আল্লাহর সাথে করো না শরিক-
তার নেই কোনো পুত্র,পরিবার;
নেই কোনো তন্দ্রা-নিদ্রা,ক্ষুদা তার
প্রয়োজন হয় না কোন আহার।
তুমি অসীম,একক ও অদ্বিতীয়-
তোমার নেই কোনো তুলনা;
বিশ্বভুবনের সকল সৃষ্টি জীব,
তোমার করুণা ছাড়া বাঁচে না।
প্রতিটি মূহুর্তে বিশাল জগৎ জুড়ে
চলে, তোমার নামের আনাগোনা;
তোমার নাম ছাড়া মোদের জীবনে
সময়, এক নিশ্বাসও চলে না।
তুমি কোটি মানুষের মনে
আছো, ছিলে, আজীবন থাকবে;
যতদিন একজন আল্লাহ বলার
লোক, বাসভূমি পৃথিবীতে বাঁচবে।
যতদিন রবে সৃষ্টি জগৎ,
আমলে ভারী মিযানের পাল্লা;
ততদিন রবে প্রসংশা তোমার,
হে-চির মহান একক আল্লাহ।