fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী যারা রাজাকারের পক্ষে শ্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগে কুবি শিক্ষক বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ 

                                           
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

কুবি প্রতিনিধি:

চূড়ান্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিন্ডিকেট। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোর্সের ফলাফল একই সেমিস্টারের অন্য চারটি কোর্সের ফলাফলের গড় হিসেবে প্রকাশ করা হবে।

খোজঁ নিয়ে যায়, ২০২০ সালের ১ মার্চ গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এমটিএইচ-২২১: রিয়াল এনালাইসিস-২ শিরোনামের কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক ও গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে এ কোর্সের ফলাফল জমা করেন। কিন্তু বহিঃপরীক্ষকের নিকট প্রেরণের জন্য উত্তরপত্র খুঁজতে গেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে তা পাওয়া যায়নি। নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষককে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমা করতে হয়। এরপর বহিঃপরীক্ষকের নিকট মূল্যায়নের জন্য উত্তরপত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাচের অন্য কোর্সের উত্তরপত্র থাকলেও এ কোর্সের উত্তরপত্র জমারও কোন নথি পাওয়া যায়নি। এদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র খুঁজে না পাওয়ায় পরীক্ষার দেড় বছর পরও সংশ্লিষ্ট ব্যাচের ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি বিভাগ।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। প্রায় তিন মাস তদন্ত শেষে কমিটি গত ২৩ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে শিক্ষক আতিকুর রহমানের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায় কমিটি।

কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড আসাদুজ্জামান বলেন, (উত্তরপত্র) শিক্ষকের কাছ থেকে হারিয়েছে, এটা নিশ্চিত। সে যদি জমা দিয়েও থাকে তার কাছে পরীক্ষার খাতা রিসিভ করার কোন ডকুমেন্টসই নেই। তাই, এখানে তার রেস্পন্সিবলিটি নিতে হবে যে, তিনি হারিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, খাতা যেহেতু জমা হয়নাই, নাম্বারটা আদৌও খাতা দেখে দেওয়া হয়েছে কিনা অস্পষ্ট। তাই বাকি যে চার-পাঁচটা কোর্স আছে তার নাম্বার এভারেজ করে এ কোর্সের রেজাল্ট দেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে লিখিত দিয়েছি। আর এ বিষয়ে (বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ) বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে এখনো কিছু জানায়নি, তাই কিছু বলতে পারছিনা।

রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের বলেন, আমাদের যেহেতু শৃঙ্খলাবিধি নেই, তাই সরকারি বিধিমালা ২০১৮ (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুযায়ী সিন্ডিকেটে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা এখন বিভাগীয় প্রসিডিওরাল অনুযায়ী হবে।

এদিকে এ অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একটি সেমিস্টার পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন মডারেশন ও প্রিন্ট’র দায়িত্বে অবহেলারও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের এমটিএইচ-৩২৩ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা সকাল ১০ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রশ্ন ছাপা হতে বিলম্ব হওয়ায় এক ঘন্টা পর ১১ টায় পরীক্ষা শুরু হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আতিকুর রহমান বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনায়ই ঘটেনি। আপনি ভালো করে খোঁজ নেন।

উক্ত পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, ওনি (আতিকুর রহমান) ওই পরীক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রশ্ন মডারেশন ও প্রিন্টের দায়িত্বও ওনারই ছিল। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় যথাসময়ে প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারেননি। ফলে এক ঘন্টা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়।

সার্বিক বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড এমরান কবির চৌধুরী বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সরকারি বিধিমালা ২০১৮ (শৃঙ্খলা ও আপিল) ফলো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন