মাদক কি? সাধারণত নেশা জাতীয় যে কোনো দ্রব্যই মাদক, এটি হতে পারে মদ, গাঁজা,আফিম,ইয়াবা ইত্যাদি।এগুলো সম্পর্কে যদি আমরা পেছনে ফিরে দেখি তাহলে দেখা যায় ইল্যান্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারত বর্ষে উৎপাদিত মাদক দ্রব্য চীনের যুবকদের শারীরিক, অর্থনৈতিক, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার জন্য নেশা জাতীয় জিনিস আফিমের ব্যবহার শুরু এবং ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে চীনের সম্রাট এর বিরোধীতা শুরু করলে চীন-ইঙ্গো বাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ হয় ইতিহাসে তা আফিমের যুদ্ব নামে পরিচিত।
এ থেকে বুঝায় সুদূর অতীতেও এর ক্ষতিকর দিক ছিল তা বর্তমানেও তা বিদ্যমান রয়েছে। মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের কিডনি ফিল্টারের যে ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলো আছে সেগুলো মাদক দ্রব্যের কণা গুলো বন্ধ করে দেয় ফলে প্রথম দিকে স্বাস্হ্য ভালো থাকলেও পরে যেকোনো প্রকার মারত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং মাদক দ্রব্য সেবনকারী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে।
এ ছাড়া মাদকাসক্ত ব্যক্তির মাদক দ্রব্যক্রয়ের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় যা মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা উপার্জন করা সম্ভব হয় না এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তি দেখা দেয়।এ সব দিক চিন্তা করে আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে এগিয় যেতে হবে।মাদকের বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এটি বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে।
আমি যেভাবে ধূমপান, তামাক,মাদকমুক্ত তেমনিভাবে আপনে ধূমপান, মাদক সম্পর্কে সচেতন হলে তথা মাদক বিরোধী হলে এভাবে ব্যক্তি থেকে পরিবার, পরিবার থেকে সমাজ,সমাজ থেকে দেশ মাদক মুক্ত হবে।অর্থাৎ সবার আগেই ব্যক্তিকে সচেতন হতে হবে। তাইতো
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় লিখেছেন”
আমরা যদি না জাগি মা
কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে উঠলে মা গো
রাত পোহাবে তবে।”
লেখকঃ মোঃ রাহিমুল ইসলাম, প্রভাষক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মহিলা কলেজ