fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনের নামে হত‍্যা মামলা মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী

আজ ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস

                                           
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ
প্রকাশ : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃআজ ১২ জুন (শনিবার)বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।

দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়াবহ সমস্যা হলো শিশু শ্রম। বাংলাদেশ জাতীয় শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করানো হলে তা শিশু শ্রমের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক দুরবস্থা হচ্ছে শিশু শ্রমের প্রথম ও প্রধান কারণ। লেখাপড়ার খরচ দিতে না পেরে এবং সংসারের অসচ্ছলতার গ্লানি একজন মা-বাবাকে বাধ্য করে তার সন্তানকে শ্রমে নিযুক্ত করতে।

বাংলাদেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৫-১৪ বছর বয়সী মোট শিশু জনসংখ্যার ১৯%, ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রে এই হার ২১.৯% এবং মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে তা ১৬.১%। অর্থনীতির খাত অনুযায়ী শিশুশ্রমিকদের বণ্টনের চিত্র হচ্ছে: কৃষি ৩৫%, শিল্প ৮%, পরিবহন ২%, অন্যান্য সেবা ১০% এবং গার্হস্থ্যকর্ম ১৫%।

শিশু শ্রম প্রতিরোধে বাংলাদেশের ভূমিকা
ন্যূনতম মজুরি অধ্যাদেশ (১৯৬১) কিশোরসহ সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে এবং নিয়োগকারী কর্তৃক কিশোর শ্রমিককে (১৮ বছরের নিচে) এই অধ্যাদেশের আওতায় গঠিত বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণের কম মজুরি প্রদান বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

যেসব যায়গায় শিশুশ্রম নিষিদ্ধ:-

দোকান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ১২ বছরের কমবয়সী শিশুনিয়োগ নিষিদ্ধ।

শিল্প কারখানার কাজে ১৪ বছরের কমবয়সী ব্যক্তিকে নিয়োগদান নিষিদ্ধ।

শিশু আইন (১৯৭৪) এবং শিশু বিধি (১৯৭৬) সকল ধরনের আইনগত প্রক্রিয়াকালে শিশুর স্বার্থ রক্ষা করবে। এই আইনে আলাদা কিশোর আদালত গঠনের জন্য বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু অপরাধী যদি যৌথভাবে একই অপরাধ করে থাকে তাহলেও তাদের যৌথ বিচার অনুষ্ঠান করা যাবে না।

১৫ বছরের কম বয়সের কোন ব্যক্তিকে কোন খনিতে নিয়োগদান নিষিদ্ধ।

শিশু (শ্রম অঙ্গীঁকার) আইনে (১৯৩৩) ১৫ বছরের কমবয়সী শিশুর শ্রম চুক্তির অঙ্গীকার অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতিসংঘসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে শিশুশ্রম বন্ধ করারকর্মসূচী চালু আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম নিরসন বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। আইএলও ১৯৯২ সালে প্রথম শিশু শ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর ‘শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে।
পাশাপাশি প্রতিবারের মতো বাংলাদেশও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি এবারও পালন করছে।

এবছরে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সকল এনজিও ও শিশুশ্রম বন্ধ করার সংস্থাগুলো দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ঘোষন করেছে ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশু শ্রমের অবসান’।

আসুন আমরা সকলে সচেতন হই এবং শিশুশ্রম বন্ধ করে জাতিকে একটি শিক্ষিত সমাজ উপহার দেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন