যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারিতে দেওয়া হয়েছে বাধ্যতামূলক ছুটি। তারপরেও অফিসে দেখা যাচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যের পিওন ও সাবেক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ’কে।
আজ (২৪ই মার্চ) বুধবার সরজমিনে যেয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার পরও একজন উপাচার্যের পিওন কি চাইলে অফিস করতে পারেন?
অভিযুক্ত সোহাগকে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে আমি আমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারবোনা? তাছাড়া তিনি অফিসে কেন জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য,অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর বিতর্কিত কর্মচারী কে. এম. আরিফুজ্জামান সোহাগ’কে গত ২০শে মার্চ বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “যবিপ্রবির কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে বর্তমান কর্মচারী সমিতি কতৃক দাখিলকৃত অভিযোগ ও আইন উপদেষ্টার মতামতের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তকালীন সময়ের জন্য কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগকে বাধ্যতামুলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে। ”
আরিফুজ্জামান সোহাগ যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির ২০১৯-২০ কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কর্মচারীদের সমিতির ২০২০-২১ কার্যনির্বাহী পরিষদ।