দুর্দান্ত ছন্দে আছে টিম আর্জেন্টিনা। নিজেদের অজেয় যাত্রা ধরে রেখে এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে লাতিন অঞ্চল থেকে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্তিনেস। এ জয়ে আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত রইল।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে এদিন খেলার ২৯তম মিনিটে মার্তিনেস গোলের জাল খুঁজে পায়, এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মার্কোস আকুনার ক্রসে ডি-বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোলটি করেন মার্তিনেস। চিলির বিপক্ষেও জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার আগের ম্যাচে চিলির বিপক্ষেও ছিলেন না। কোভিড থেকে সেরে ওঠা লিওনেল মেসিকে ধকল কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট সময় দিতে এবং পিএসজির অনুরোধে তাকে বাছাইয়ের এই পর্বের দুই ম্যাচে দলে রাখেননি স্কালোনি।
৬৪তম মিনিটে আবারও দূর থেকে চেষ্টা করেন দি মারিয়া। তার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান কামিলো ভারগাস।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল হয় না , ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
অপরদিকে প্যারাগুয়েকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল।
ঘরের মাঠ বেলো হরিজন্তেতে প্যারাগুয়েকে আতিথেয়তা জানায় ব্রাজিল। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় তিতের শিষ্যরা। মার্কুইনহোসের দুরপাল্লার পাস ডান প্রান্তে পায়ের ওপর নিয়ে চলন্ত অবস্থায় এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন লিডস উইঙ্গার। আরেক ডিফেন্ডার ছুটে আসার আগেই বাঁ পায়ের শটে গোল করেন রাফিনহা।
বিরতির পর ৬২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এবারও গোলের যোগানদাতা মার্কুইনহোস। তিনি রক্ষণভাগ থেকে খানিকটা এগিয়ে কৌতিনহোকে লম্বা পাস দেন। সেখান থেকে কৌতিনহো বল ধরে একটু এগিয়ে বাতাসে ভাসানো শট নেন। প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক আন্তনি সিলভার বাতাসে খামচি মারা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ চার মিনিটে আরও দুটি গোল আদায় করে নেয় ব্রাজিল। ৮৬ মিনিটে এভারতন রিবেইরোর পাস থেকে বদলি নামা আন্তোনি বাঁ প্রান্তে বক্সের মধ্যে বাতাসে ভাসানো বাঁকানো শটে গোল করেন। দুই মিনিট পর দলীয় আক্রমণে গোল করেন বদলি নামা রদ্রিগো।